প্রবন্ধ- নারীর অগ্রগতি নারীর হাতে

নারীর অগ্রগতি নারীর হাতে
– অমরেশ কুমার

 

 

পিছিয়ে পড়া নারী সমাজের পাশে থেকে তাদের অধিকারের জন্য আমাদের লড়তে হবে, লড়তে হবে সেই সকল অত্যাচারিত মহিলা, শিশু, বৃদ্ধা, বৃদ্ধদের জন্য। যাদের ইচ্ছা থাকলেও প্রকাশের ভাষা নেই, যাদের মুখ বুজে সব সহ্য করতে হয়। আজ আমরাই নারী সমাজের ভবিষ্যৎ, আমাদের উচিত আমাদের মাতৃ সমাজের পাশে দাঁড়ানো, আমাদের উচিত আগামী দিনের সমাজকে সুস্থ রাখা। কিন্তু, তা আমাদের একার দ্বারা সম্ভব নয়, দরকার সমষ্টি। আজ আমাদের ভাইদেরকে বলতে হবে বোঝাতে হবে, যে নারীরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ; নারী ছাড়া সমাজ কখনো সুষ্ঠ ভাবে চলতে পারে না, তাই দরকার নারী সমাজের অগ্রগতি ।

প্রত্যেক নারীকেও মাথায় রাখতে হবে যে কিছু পাইয়ে দেওয়া যায় না, তা ছিনিয়ে নিতে হয়। প্রয়োজনে নিতে হবে। নারীর উন্নতিতে বহু পুরুষ কৃতিত্বের পরিচয় রাখে। তবে যতদিন না সকল নারী সমাজে একত্রিত হয়ে আন্দোলনে নামবে ততদিন সমগ্র ভাবে বাঁধা কাটানো সম্ভবপর হয়ে উঠবে না। আজও সমাজে পণপ্রথা চালু, লক্ষ্য করলে বোঝা যায়, যে নারী সমাজের উন্নয়নের জন্য লড়ছে সেই নারী নিজের ঘরে ছেলের হয়ে পণ আনার জন্যও লড়ছে। নারীর এই দ্বিচারিতা আচরণ নারী সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। সকল নারীকে এক বাক্যে বলতে হবে।

আজও বহু ভাইয়েরা আমাদের এগিয়ে চলার জন্য সর্বদা হাত বাড়িয়ে হাত ধরতে প্রস্তুত থাকে। যখন তারা আমাদের পাশে দাঁড়ানোর শপথ নিয়েছে তখন আমরা পিছিয়ে থাকলে চলবে না, আমরা নারী সমাজ,আমাদের তা বুঝতে হবে। আমাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। শুধু এগিয়ে এলে হবে না সবাইকে আরো এগিয়ে আনতে হবে ।

গ্রাম বা শহর প্রত্যেকটি অলিতে গলিতে দেখলে বোঝা যায় আজও পুরুষ শাসিত সমাজে নারী অবহেলিত, এর জন্য আমরাই দায়ী আমরা কখনো এগিয়ে আসিনি, আমরা কখনো প্রতিবাদ করিনি।
আমাদের বিশ্বাস, আমরা সবাই মিলে একটা সুস্থ সমাজ গড়ে তুলবো। হয়তো আজ আমরা ক্ষুদ্র, তবে তুচ্ছ তো নয়। হ্যাঁ, আমরা চেষ্টা করলে আরো কিছুজনের মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত বাসনার জাগরণ ঘটাতে পারবো। তাই আমাদের লক্ষ্য, সুস্থ সমাজ। একটি সমাজকে তখন সুস্থ বলা যায় যখন সমাজের নারীরা সুরক্ষিত থাকে, নারীদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটে, আর আগামী দিনের শিশুরা মাতৃ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে।
সেই জন্য আমরা সবাই চেষ্টা করবো একত্রিত ভাবে কাজ করার।

Loading

Leave A Comment